মাছ ধরতে গিয়ে মিলল নিখোঁজ নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ

মাছ ধরতে গিয়ে মিলল নিখোঁজ নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ

মাছ ধরার জন্য পুকুরে সেচ দিয়ে মিলল ২৪ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া বিধবা নারী শাহনাজ বেগমের (৫৩) বস্তাবন্দি মরদেহ। বস্তার মধ্যে ৮টি ইট দিয়ে মরদেহ ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বান্না গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত শাহনাজ ওই গ্রামের মৃত কদম আলী শাহর স্ত্রী। খবর পেয়ে সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে ওই গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান।

জানা গেছে, বান্নায় গ্রামে বাড়ি হলেও শাহনাজ থাকতেন বরিশাল নগরীর একটি ভাড়া বাসায়। মাঝেমধ্যে তিনি গ্রামের বাড়িতে যেতেন। তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন শাহনাজ বেগম। এ ঘটনায় শাহানাজ বেগমের ভাইয়ের ছেলে আল আমিন উজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্তকালে সন্দেহজনকভাবে শাহনাজের বাড়ির প্রতিবেশী মো. ইদ্রিস মিয়াকে (৬০) গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে ইদ্রিস মিয়া করাগারে আছেন।

এদিকে সোমবার শাহনাজের বাড়ির পুকুর সেচে মাছ ধরতে গেলে পুকুরে সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পায় স্বজনরা। বস্তা থেকে পচা গন্ধ বের হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করে।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান বলেন, বস্তার মধ্যে ৮টি ইট দিয়ে মরদেহ বস্তাবন্দি করে রাখা ছিল। এছাড়াও বস্তার দুই প্রান্তে রশি বেঁধে খুটি দিয়ে মাটিতে গেঁথে রেখেছিল। যার কারণে মরদেহটি ভেসে ওঠেনি। ওই নারীর হাতে থাকা চুরি ও পরনের শাড়ি দেখে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে শাহনাজ বেগম হত্যাকাণ্ডের শিকার। তাকে হত্যা করে মরদেহটি গুম করার উদ্দেশ্যে পুকুরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন